শুটিং স্পটে উত্তেজনা , ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হতেই আছড়ে পড়লো রোষ

2nd September 2020 4:40 pm বর্ধমান
শুটিং স্পটে উত্তেজনা , ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হতেই আছড়ে পড়লো রোষ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : রাস্তা আটকে দুই মহিলা ও তিন যুবকের উপস্থিতিতে চলছিল ছবির তোলার কাজ । সে সময় ই সব্জী নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় সব্জী বিক্রেতা রাস্তা ছাড়ার কথা বলেন । নারাজ শুটিং করতে আসা যুবকরা । তবুও বারবার বলার পর রাস্তা ছেড়ে দিতে সব্জী বোঝাই মোটরবাইক নিয়ে এগোতেই তাদের উপর পিছন থেকে চড়াও হয় শুটিং এ আসা দুই যুবক বলে অভিযোগ । রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় মুখে ঘুসি মেরে । বাইকে থাকা সব্জীও পড়ে যায় সব রাস্তায় । এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমান সদর ২ ব্লকের চৈত্রপুর এলাকায় । মূল রাস্তার উপর এই ঘটনার খবর পেয়েই জড়ো হন এলাকাবাসী । ঘটনা ঘটনোর উপর ২ যুবক এলাকা থেকে গা ঢাকা দিলেও এক যুবক ও দুই মহিলাকে আটকে রাখেন স্থানীয় রা । উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়তে থাকে । তিনজনকে আটকে রাখা হয় এলাকার একটি ক্লাব ঘরে । এরপরেই খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে উদ্ধার করার জন‍্য । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চেষ্টা করলেও পুলিশের উপর চড়াও হন এলাকার একাংশ ক্ষুব্ধ মানুষজন । যে দুজন মারধোর করে পালিয়ে গেছে তাদের এলাকায় না নিয়ে এলে এই তিনজনকেও এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি । পুলিশের দিকে বাঁশ , লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন বেশ কয়েকজন । যারা মারধোর করলো তাদের শাস্তি দিতে হবে । চাষীর যে ক্ষতি হয়েছে তাও পূরণ করতে হবে বলে সোচ্চার হন । পুলিশ কর্মীরা বোঝানোর চেষ্টা করলেও একাংশ রোষ উগড়ে দেন পুলিশের উপর । জানা গেছে , শুটিং করার জন‍্য তিন যুবক সহ মহিলারা গোলাপবাগ এলাকা থেকে গিয়েছিলেন চৈত্রপুরে । সামগ্ৰিক বিষয় খতিয়ে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।